যাত্রা করল তামাবিল স্থলবন্দর

সিলেটে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত তামাবিল স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই স্থলবন্দরটি চালু হওয়ার ফলে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং আসাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ২৭ অক্টোবর শুক্রবার স্থলবন্দরটি উদ্বোধন করেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।

৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারিত তামাবিল স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে রয়েছে, সীমানা প্রাচীর, সিসি ইয়ার্ড, পাওয়ার হাউজ, ১০০কেবি জেনারেটর, দুইটি ওয়েব্রিজ স্কেল পণ্যাগার শেড, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়লেট, গোসলখানা।

এছাড়া প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পে রয়েছে, কর্মকর্তা/কর্মচারী আবাসিক, পুলিশ ব্যারাক ও নিজস্ব অফিস ভবন। বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত আবাসিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য ৩ দশমিক ১৮ একর, সাইটের নির্মাণের জন্য ২৪ দশমিক ৯৮ একর ভূমি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ জানান, এ স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে ওই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা উপকারভোগী হবে। গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক স্থলবন্দর হিসেবে তামাবিলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানকার ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারেরও রাজস্ব খাত আরও সুদৃঢ় হবে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে সহজে ব্যবসা করতে পারবেন।

উল্লেখ, ২০১৫ সালের ৮ মে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভূমি ও স্থলবন্দরের সার্বিক উন্নয়নসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৯ কোটি ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৮ অক্টোবর ২০১৭