যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজ ভারতীয় কন্যাশিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজ এক ভারতীয় শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ডালাসের রিচার্ডসন এলাকা থেকে গত ৭ অক্টোবর গভীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ৩ বছরের মেয়ে শেরিন ম্যাথিউজ।

বাড়ি থেকে আধ মাইলের মধ্যে যে শিশুকন্যার পচাগলা মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তা ওই ভারতীয় মেয়েটির বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ।

মৃত্যুর কারণ জানতে এবং মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুরোটা দুধ খেতে না চাওয়ায় রাত ৩টার সময় শেরিন ম্যাথিউসকে বাড়ির বাইরে বের করে দেয় তার পালক বাবা ওয়েলসি ম্যাথিউস।

১৫ মিনিট পর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আর শেরিনকে দেখতে পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। তারপর থেকেই নিখোঁজ শেরিন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটা চোখে ভালো দেখতে পেত না শেরিন, কথা বলাতেও ছিল সমস্যা।

দেড় বছর বয়সে এই মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে গিয়েছিল তারই আপন বাবা-মা। এরপর শেরিন বড় হচ্ছিল অনাথ আশ্রমে।

সেখান থেকে তাকে দত্তক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের রিচার্ডসনে নিয়ে আসেন কেরালার বাসিন্দা ম্যাথিউস দম্পতি।

রিচার্ডসন পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাথিউসদের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, রাস্তার নিচে একটি খাঁড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই শিশুকন্যার দেহ।

তাদের ধারণা, দেহটি শেরিনেরই। তবে এখনও তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তল্লাশি অভিযানের অংশ হিসেবে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

কীভাবে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি তারা।

শেরিনের পালক বাবা ওয়েসলিকে বাচ্চাকে পরিত্যাগ করা ও বিপদে ফেলার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পেয়ে যান তিনি।

ওয়েসলি স্বীকার করেছেন, তিনি জানতেন, ওই এলাকায় কয়োট নামে এক ধরনের হিংস্র বুনো কুকুর ঘোরে।

তারপরেও কেন তিনি ছোট্ট মেয়েটিকে গভীর রাতে একা ছেড়ে এলেন তা পরিষ্কার নয়।

তা ছাড়া ১৫ মিনিট পর বাইরে গিয়ে শেরিনের দেখা না পেয়েও খোঁজাখুঁজি করেননি তিনি।

বরং ঘরে ফিরে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি নাকি ভেবেছিলেন,মেয়ে নিজেই ফিরবে।

ঘটনার প্রায় ৫ ঘণ্টা পরেও শেরিন না ফেরায় পুলিশে খবর দেয়া হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার