যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে মানব পাচার রোধে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জাতীয় মানব পাচার সচেতনতা দিবস উদযাপন করেছে এবং মানব পাচার প্রতিরোধ, পাচারকারীদের বিচার এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করতে, পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং মানব পাচারের অভিশাপ নির্মূল করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মুনাফার জন্য যারা মানুষকে শোষণ করে, তাদের ধরতে দুই দেশ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, মানব পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করা তার একটি বড় উদাহরণ ।
২০২৩ সালে মার্কিন দূতাবাস এবং মার্কিন বিচার বিভাগের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিসটেন্স প্রোগ্রাম (আইসিআইটিএপি) এবং ওভারসিজ প্রসিকিউটর ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড ট্রেনিং (ওপিডিএটি) সারা দেশে দুই শতাধিক তদন্তকারী, আর্থিক বিশ্লেষক, প্রসিকিউটর এবং বিচারকদের মানব পাচার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। এই সক্ষমতা তৈরির কর্মসূিচগুলো বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয় এবং বিশেষজ্ঞ সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত-কেন্দ্রিক দক্ষতা বিকাশ এবং বাংলাদেশী প্রতিপক্ষদের ঘটনা-ভিত্তিক পরামর্শ প্রদান করে।  আইসিআইটিএপি এবং ওপিডিএটি যৌথভাবে বাংলাদেশে ৪৮টি প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেছে এবং আইসিআইটিএপি  ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে মানব পাচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কমিউনিটি আউটরিচ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে এবং সম্ভাব্য ঘটনাগুলো কীভাবে সনাক্ত ও প্রতিবেদন করা যায়, সে সম্পর্কে নাগরিকদের শিক্ষিত করেছে। এই উদ্যোগগুলো এনজিও, নাগরিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।