যুদ্ধাপরাধ: রাজশাহীর আব্দুস সামাদের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ন।

গত ৮ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পুঠিয়ার বাঁশবাড়ী এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ মুক্তিযুদ্ধের আগে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে শান্তি কমিটির স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি ফিরোজ খাঁর বিরুদ্ধে চারজন সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০ থেকে ৬০টি বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে পুঠিয়া থানার ভালুকগাছী ইউনিয়নের সাঁওতাল পাড়ায় গিয়ে আসামি ফিরোজ খাঁ, পাকিস্তানি আর্মি ও তার সহযোগীরা স্বাধীনতার পক্ষের হেমব্রম, কানু হাসদা, জটু সরেন ও টুনু মাড্ডিকে তরবারি দিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তখন এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ছয়জনকে। কিন্তু তদন্ত চলার সময়ই বাকি পাঁচ আসামির মৃত্যু হলে একমাত্র আসমি হিসেবে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁই থাকেন।

তদন্ত চলার সময় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হন এ আসামি। পরে ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজকের বাজার/এমএইচ