যুব কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ইউনিসেফের পাশে সামিট

জনসংখ্যায় যুব জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই যুব জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত দক্ষতা। সামিট তার সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুল বহির্ভূত তরুণ-তরুণীদের জীবিকার জন্য দক্ষতা বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ যেমন মটর সাইকেল মেকানিকস, মোবাইল ফোন এবং এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিস সহ দেবার জন্য ইউনিসেফকে সহায়তা করছে।

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী অত্যন্ত মেধাবী এবং কঠোর পরিশ্রমী। আমরা স্কুল-বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের কর্মসক্ষমতার বিকাশের জন্য ইউনিসেফকে সহযোগিতা করছি।”

অনুদান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের কর্পোরেট এলায়েন্সেস এবং সিএসআর বিশেষজ্ঞ সাইমন পিকাপ ।

ইউনিসেফের অল্টারনেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত:

অল্টারনেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এবং অনগ্রসর স্কুল বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষার পথ তৈরি করে, যাতে তারা পুনরায় শিক্ষার মাধ্যমে জীবনের উন্নতি সাধন, চাকুরি এবং স্বচ্ছল/সাধারণ জীবনে সম্পৃক্ত হতে পারে। ব্র্যাকের সাথে অংশীদারিত্বে, এই কর্মসূচিটি তাত্ত্বিক এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ সহ ৬ মাসের শিক্ষানবিস কর্মসূচির মাধ্যমে উপযুক্ত কাজের সুযোগ প্রদান করে। আইএলও’র সহায়তায় ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের (এনটিভিকিউএফ) প্রযুক্তিগত অনুসরণে এই কর্মসূচির নকশা করা হয়েছে। রিকগনিশন ফর প্রায়োর লার্নিং (আরপিএল) এর প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল সার্টিফিকেশনস এবং পুনরায় উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পাবে। ১৭টি ট্রেডের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ে উভয়ই এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সকল শিক্ষার্থীই শিক্ষানবিস কাল থেকেই যাতায়ত ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক নূন্যতম খরচ বহন করার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা পাবে।