আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি সংসদের অর্থাৎ ক্ষমতাসীন সরকারের এটাই শেষ বাজেট।
মঙ্গলবার (৫ জুন) দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এ অধিবেশনে বাজেট পেশ এবং পাস করা হবে। সংসদে ৭ জুন বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট কেমন হবে তার রূপরেখা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী অর্থ বছরের জন্য সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করা হবে। তবে এই বাজেটে কর বাড়ছেনা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন বাজেটের প্রায় ১২ শতাংশ ব্যয় ধরা হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধে।
গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছিলো।
২০১৫-১৬ অর্থবছর সরকারের নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছিল ৩৩ হাজার ১১০ কোটি টাকা। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৩৬০ কোটিতে। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সুদ বাবদ ৪১ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ বাবদ ব্যয় ধরা হচ্ছে ৫১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরেই ৯ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা বাড়ছে সরকারের সুদব্যয়। শতকরা হিসাবে এ বৃদ্ধি প্রায় ২৪ ভাগ।
এবারের বাজেটে করপোরেট ট্যাক্সে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছেনা। সারচার্জ থাকছে আগের মতোই।
এ বিষয়ে মুহিত বলেন, ' করপোরেট ট্যাক্স ৪৫ পার্সেন্টস আছে। এর একটা মোবাইল অন্যটা সিগারেট। মোবাইলের তো আয় ভাল এবং সিগারেটের তো অন্য উদ্দেশ্য।'
তিনি বলেন, করপোরেট ট্যাক্স সাড়ে ৩৭, লোয়ার বেনিফিট যারা পাচ্ছে তারা থাকছে, যেগুলো সাড়ে ৩৭ এর নিচে, আই হ্যাড নট ট্যাক্স দেম, আই হ্যাড ওনলি রিডিউস দা হাই রেইটস, লোয়ার রেইটস আর নট ব্যাড।'
আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে ভ্যাটের স্তর কমছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে ৫টিতে নেমে আসবে। ভ্যাটের সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ থাকলেও নিচেরগুলো পরিবর্তন হবে।
এই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে নতুন কোনো সুযোগ না রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে বাজেটে ‘ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম’ রূপরেখা থাকবে। বাজেটের পর সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো হবে।
এ বাজেটের বড় চমক হিসেবে থাকছে রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ। এ বরাদ্দ ছোট নয়, আকারে বেশ বড়ই। মন্ত্রী জানান, বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ থাকছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেট হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের টানা দশম বাজেট। এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আরও দুটি বাজেট দিয়েছিলেন।
আরএম/রাসেল/