রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে সহিংসতা হলে ভোট বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর ১৯ নভেম্বর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রংপুরের নির্বাচনকে ইসির জন্য পরীক্ষা বলছে বিএনপি। এক্ষেত্রে ইসি বিএনপির প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবে জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন,কারো প্রত্যাশা পূরণ নয়, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করব। তবে বিএনপির আশঙ্কার কিছু নেই।
সিইসি বলেন, ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাসায় ফিরতে পারেন এবং প্রার্থীরা যেন তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘুরা যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সে ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ইসিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এর আগে বেলা ১১টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক শুরু হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এসবি), বিজিবির মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক, ডিজিএফআইএর পরিচালক, এসএসআই এর পরিচালক, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া রিটার্নিং অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর দ্বিতীয়বারের মতো এখানে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৪ ডিসেম্বর।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৯ নভেম্বর ২০১৭