রং বেরংয়ের গহনায় বেশ জমেছে ঈদ বাজার

অন্তরা নাজনীন: ঈদ মানে সাজুগুজু, নতুন পোশাকের বাহার। আর এতে ফুটে ওঠে নারীর সৌন্দয্যতা। তাই নতুন পোশাকের সাথে গহনা এ যেন চিরাচরিত। গহনা ছাড়া ঈদ আর নারীর সাজ কল্পনাই করা যায় না। ঠিত তাই। আর সে কারণেই এবারের ঈদের গহনার ধারায় পুরোনো-নতুন দুটোই চলছে বেশ।

গহনার ফ্যাশনে গলার সঙ্গে এটে থাকা চোকার শাড়ির সঙ্গে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর এবার ওয়েস্টার্ন পোশাকের সাথেও বেশ মানিয়ে চলছ।টপস,কুটা,থ্রিপিচ,বা তাগার মতো ট্রেন্ডি পোশাকের সাথে মকমল কাপড়ে বসানো ছোট্ট লকেটের চোকার কিংবা ছিমছাম ধাতব চোকার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। চোকারের পাশাপাশি থাকছে ধাতব স্টেটমেন্ট নেকলেস ( গলায় লাগোয়া হার)। নানা রকম পুতি বসানো সুতার তৈরী মালা ক্রেতার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

এবার ঈদে ভিন্নমাত্রায় করা হয়েছে কাঠের ও ঝিনুকের মালা। ছিমছাম গহনা চাইলে পাবেন ছোট্ট কানের দুল,লকেট,ব্রেসলেট। এসব গহনা সোনার পানিতে ভেজানো ও বাহারী স্টোন বসানো। বিভিন্ন শোরুম ঘুরে দেখা যায় ভারী গহনার পরিবর্তে ছিমছাম গহনার চাহিদাই বেশি। গলার সঙ্গে লাগোয়া ধাতুর তৈরী প্যাচানো নকশা চোকারও বেশ চলছে। বিক্রেতারা জানান, গেলো কয়েক বছরের গহনার ট্রেন্ড এবারও থাকছে। তবে মালার বদলে চেইন দিয়ে লহর বানাচ্ছে তরুণীরা। দেশীয় ও ওয়েস্টার্ন সব পোশাকেই মানিয়ে যাচ্ছে এই গহনা।

লহর ছাড়াও বেশ খানিকটা ঝোলানো মালার সঙ্গে বিভিন্ন আকৃতির লকেট বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। আবার কাঠের সঙ্গে কোনোটাতে সুতা,পাটের আশ,কড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। গলার সঙ্গে মিলিয়ে তৈরী হচ্ছে কানের দুল। সুতা দিয়ে চমৎকারভাবে বানানো হয়েছে আরও অনেক গহনা। তাতে ব্যবহার করা হয়েছে পুতি,ধাতু বা কাঠ। নানা রকম পুতি বসানো সুতা,কাঠ,বেত এবং বিন কাপড় দিয়েও বানানো হচ্ছে নেকলেস। মেটাল বা কাঠের ফ্রেমে বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব গহনায়। কখনো প্রিন্ট করে,কখনো হাতে আকা নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গলার নেকপিচ,কানের দুল,আংটিসহ সব ধরনের গহনায়।

কানের গহনার সম্ভারেও তামা,পিতল,রুপা ও সংকর ধাতুর তৈরী গহনা গুলোও উৎসবের সাথে এগিয়ে রয়েছে। নানা রকম ফুল,লতা-পাতা ও জ্যামিত্যিক নকশা করা হচ্ছে কিছু কিছু গহনায়। শুধু গলা বা কানের গহনা ছাড়াও হাতের চুরি,বালা,নাকফুল, পায়েল,আংটিসহ নানা রকম গহনা গোল,চারকোনা,বহুভুজাকৃতির পয়শার নকশা করা মালা কাড়ছে এবারের ঈদ বাজারের তরুনীদের দৃষ্টি।

এখন একটু বড় আকৃতির আংটির চল এসেছে বাজারে। দেশীয় ও পাশ্চাত্য সব ধরনের পোশাকের সাথেই বড়সড় একটি আংটি বেশ মানানসই। রুপা,সংকর,ধাতু,পাথর,কাঠ,মুক্তা ও মিনা করা আংটির নকশায়েও রয়েছে হরেক রকম বৈচিত্র। ডিম্বাকৃতির,তিনকোনা,বড়ফি,ষড়ভুজ,ঢেউ খোলানোসহ নানা আকৃতির আংটি মিলবে বাজারে। এবারের ঈদে গহনার দোকান গুলোতে বেশ ভিন্নধর্মী আংটি চোখে পড়ছে।

রাজধানীর বড় বড় শো রুম বা শপিং মলের পাশাপাশি গাউসিয়া,নিউ মার্কেট,হকার মার্কেট,মৌচাক মার্কেটসহ নগরীর নামীদামী সব মার্কেটেই পাওয়া যাচ্ছে এসব নতুন বাহারী গহনা। আর দাম প্রায় সবই সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে।

আজকের বাজার:এএন/এলকে/ ২১ জুন ২০১৭