উইজডেনের ২০২১ সালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক জো রুট। আজ ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের প্রকাশিত ২০২২ সালের সংস্করণ প্রকাশিত হয়। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ১৫৯তম সংস্করণ এটি।
গেল সপ্তাহে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন রুট। নেতৃত্ব ছাড়ার পরের সপ্তাহেই সুসংবাদ পেলেন তিনি। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মানে মনোনিত হলেন রুট। ২০০৪ সাল থেকে লিডিং ক্রিকেটারদের খেতাব দিচ্ছে উইজডেন। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার এন্ড্রু ফ্লিনটফ, আর সর্বশেষ দুই বছর সেরার খেতাব পান বেন স্টোকস। উইজডেনের বর্ষসেরার স্বীকৃতি দেড়শ বছরের বেশি পুরনো হলেও লিডিং ক্রিকেটারের খেতাব দেওয়া হচ্ছে ২০০৪ সাল থেকে।
গেল বছর ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন রুট। ১৫ টেস্টের ২৯ ইনিংসে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৭০৮ রান করেন তিনি। এরমধ্যে ২টি ডাবল সেঞ্চুরিও ছিলো। এক বর্ষ পঞ্জিকায় সর্বোচ্চ রানের ক্ষেত্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ রুটের। এই তালিকায় সবার উপরে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ। দ্বিতীয়স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস।
তবে অধিনায়ক হিসেবে গেল বছর সাফল্যের হার একেবারেই নগন্য ছিলো রুটের। মাত্র ৪ টেস্টে জয় পেয়েছিলো ইংলিশরা। জয় পাওয়া ঐ চার টেস্টেই সেঞ্চুরি করেন রুট। তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচে নেতৃত্ব ও জয়ের রেকর্ডটা দখলে নিয়েছেন রুট।
উইজডেনের ‘বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের’ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন- ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে, ইংল্যান্ডের ওলি রবিনসন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নারী দলের অলরাউন্ডার ডানে ফন নিকার্ক।
বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে অভিষেক টেস্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেন কনওয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৮০ রানের ইনিংস খেলে ১৯৯৯ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের বড় অবদান রাখেন তিনি।
গেল বছর ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চার টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। করোনার কারণে পঞ্চম ও শেষ টেস্টটি হতে পারেনি। এ বছর পহেলা জুলাইয়ে ঐ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বুমরাহর অধিনায়ক রোহিত চার টেস্টে ৩৬৮ রান করেছেন। ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। ঐ টেস্টে জয় পেয়েছিলো ভারত। গত বছর জুনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৭ উইকেট নেন রবিনসন। সব মিলিয়ে ৯ টেস্টে ৩৯ উইকেট নেন তিনি।
প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রীষ্মে ২৮ উইকেট নেন রবিনসন। অভিষেকের পর ৮-৯ বছর আগে করা বর্ণবাদী ও লিঙ্গ বৈষম্যমূলক টুইটের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রবিনসন।
তবে নারীদের ক্রিকেটে ‘লিডিং ক্রিকেটারের’ সম্মান পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেল লি। ২০২১ সালে ১১ ওয়ানডেতে ৬৩২ রান করেন তিনি। গড়- ৯০ দশমিক ২৮। টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ১১৯ দশমিক ৫৮ স্ট্রাইক রেটে ২৩২ রান করেন তিনি।
এছাড়াও ‘লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ মনোনিত হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। গেল বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০৩৬ রান করেন তিনি। এক বর্ষ পঞ্জিকায় সব টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন রিজওয়ান। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খবর-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান