রবি আর-স্টোরে পাওয়া যাবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের স্বাস্থ্য বীমা প্যাকেজ ‘হসপিক্যাশ’

এখন থেকে দেশজুড়ে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, আর-স্টোরে পাওয়া যাবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের স্বাস্থ্য বীমা প্যাকেজ ‘হসপিক্যাশ’। গ্রাহকরা তাদের নিকটতম আর-স্টোর থেকে জনপ্রিয় হসপিক্যাশ স্বাস্থ্য বীমা প্যাকেজগুলো কিনতে পারবেন।

এ উপলক্ষে রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সম্প্রতি একটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তির আওতায় আর-স্টোরে স্বল্পমূল্যে দুটি এক্সক্লুসিভ হেলথ ক্যাশব্যাক প্যাকেজ পাওয়া যাবে। আকর্ষণীয় বার্ষিক প্রিমিয়ামসহ প্যাকেজগুলোর  আওতায় রয়েছে শারীরিক অক্ষমতা, হাসপাতালে ভর্তি, সার্জারি, ওপিডি খরচ, হসপিক্যাশ এবং দুর্ঘটনাজনিত ক্যাশ। বীমার জন্য যাতায়াতের ঝক্কি এবং অসংখ্য ফর্ম পূরণ করার ঝামেলা দূর করবে এই প্যাকেজগুলো। যার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা এবং সাধারণ গ্রাহক উভয়ই উপকৃত হবেন।

আর-স্টোরের সাথে চুক্তির বিষয়ে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে’র অ্যাক্টিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, “রবি আজিয়াটার সাথে চুক্তির মাধ্যমে ১০ হাজারের বেশি আর-স্টোরে আমাদের ’হসপিক্যাশ’ সেবাটি চালু করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের ’হসপিক্যাশ’ সেবাটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যেতে পারব যার মাধ্যমে এসব সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। এছাড়া রবি আজিয়াটা তাদের আর-স্টোরে একটি অনন্য সেবা যোগ করতে পারবে, যা উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি কার্যকারী উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি, আর-স্টোরের মতো বিকল্প মাধ্যমগুলো আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি বীমার চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ”

রবি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ বলেন, “আর-স্টোরের লক্ষ্য হল খুচরা বিক্রেতাদের হাতে ডিজিটালাইজেশনের সক্ষমতা প্রদান করা এবং গ্রাহকদের হাতে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়া। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাথে এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের হাতের নাগালে আরেকটি সময়োপযোগী সেবা চালু করতে পেরেছি। এই অংশীদারিত্বের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী এবং আমার বিশ্বাস এর মাধ্যমে গ্রাহকদের একটি প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হবে।”

আর-স্টোর রবি’র একটি এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্ম যেখানে খুচরা বিক্রেতারা মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স, গ্যাজেট, টিকিট, মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট ও বীমার মত বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি আর-স্টোর রয়েছে। যার ফলে দেশের যেকোনো স্থান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা সবার হাতে সহজে সেবাগুলো পৌঁছে দিতে পারছেন।