রমজানকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দর

রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এরই মধ্যে সারাদেশে বাড়তে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দর। সারাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাজারগুলোতেও এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিপাকে পড়তে যাচ্ছে উপজেলার ভোক্তারা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, ইফতার সামগ্রী তৈরির উপকরণ ছোলা, ডাল, তেল, হলুদ, মরিচ, চাল থেকে শুরু করে সকল ধরনের মসলার দর বেড়েছে। চিনির দর বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর বিভিন্ন ধরনের মসলার দর বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকারও বেশি। দেশি ছোলার দর বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা। আর বিদেশি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তিতে। দেশি মসুর ডালের দর বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা।

২ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন কোম্পানির পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দর বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতি কেজি চিনিতে বেড়েছে ৬ টাকা । আদা কেজিতে ৩৫ টাকা । জিরা, দারুচিনিসহ সব ধরনের মসলার দরই বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

রোজাকে সামনে রেখে মুড়ির চাহিদা বেশি থাকলেও এখনো দর বাড়েনি। তবে রোজা শুরু হলে দর বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।

এদিকে মাছের পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও বেড়ে চলেছে শাকসবজির দর। মাছ, মাংস আর ডিমের দর রয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে। চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা।

উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে ভোগ্যপণ্যের দর বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, দর বাড়ার কারণ বাজার কারসাজি।

শ্রীমঙ্গল সেন্টাল রোডের ক্রেতা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এক কেজি ছোলা কিনলাম ৮৫ টাকায়। গত ৭ দিন আগে কিনেছি ৮০ টাকায়। রোজাকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এখনি দর বাড়িয়ে দিয়েছে।’

স্টেশন রোডের মেসার্স মোস্তফা ভেরাইটিজ স্টোর এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. মোস্তফা ব্যাপারী বলেন, ‘ছোলা আগে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মণপ্রতি দেড়শ থেকে দুইশত টাকা বেশি নিচ্ছেন। তাই খুচরা বিক্রিতে দাম কিছুটা বেড়েছে।’

পাপ্পু/রাসেল/