কাজী লুৎফুল কবীর: এক সময়ের লাঙ্গলের দুর্গ রংপুর,দিনে দিনে হাতছাড়া হয়েছে এরশাদের অতি সর্তক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। কখনও বিএনপির কাছে, কখনওবা জোটের রাজনীতির বলি হতে হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের। তবে বেশিরভাগ সময় দলীয় দ্বন্দ্বে হারতে হয়েছে জাপার অনেক যোগ্য প্রার্থীকে। আর তাই এবার ঘর সামলাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে জয়ী করতে দলের সর্ব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।
আর মাত্র একদিন পর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এর মধ্যেই ছোট ভাই জিএম কাদের, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, মশিউর রহমান রাঙ্গা, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ সারাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বৃহত্তর রংপুরে অবস্থান করছেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। ‘রংপুরের পল্লী নিবাস’ থেকে তিনি নিজেই সিটি নির্বাচন তদারকি করছেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের।
জানা গেছে,রংপুরে অবস্থান নেওয়া প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী তারই নির্দেশে পালা করে ছুটছেন লাঙলের পক্ষে ভোট চেয়ে ঘরে ঘরে, পাড়া-মহল্লায়। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা। ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন এরশাদ আমলের উন্নয়ন। নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা রংপুরে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
যে কোনো মূল্যে এবার ক্ষমতাসীন দল থেকে ‘মেয়র’ চেয়ারটি ছিনিয়ে নিতে চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এবার জয় নিয়ে পাঁচ বছর আগে পরাজয়ের জ্বালা মেটাতে চান তিনি। পুনরুদ্ধার করতে চান হারানো ভাবমূর্তি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এরশাদের প্রার্থী মোস্তফাই জিতবেন, এমনটাই দাবি নেতাকর্মীদের।
দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার টেলিফোনে আজকের বাজারকে জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাপার প্রার্থীর নিশ্চিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রার্থী হিসেবে রংপুরে জাপার মোস্তফার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ রংপুরে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই এরশাদের উন্নয়ন। কারচুপি না হলে রসিকে এবার জয় জাপার,মেয়র এরশাদের। সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় পার্টির সফল ও দীর্ঘ সময়ের এই মহাসচিব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে কোনো প্রকার কারচুপি না হয় সেজন্য নেতাকর্মীরা কেন্দ্র পাহারা দেবে। সবস্তরের নেতাকর্মীকে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীর জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রংপুর ছাড়ব না আমরা। রংপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ তৎপরতা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্নস্থরের সরেজমিন পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে, সিটি মেয়র প্রার্থী মোস্তফার জয়ে মরিয়া এরশাদ, এমপি হওয়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ছোট ভাই জিএম কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে রংপুর নিজের পল্লী নিবাসে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ভোটের কৌশল নির্ধারণ করছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের। পার্টির চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মী-সমর্থকরাও হয়ে উঠেছেন বেশ চাঙ্গা।
এরশাদের পাশে রয়েছেন ছোট ভাই জিএম কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা। মেয়র প্রার্থী মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে লাঙলের পক্ষে অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন জিএম কাদের। গেল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর সদরের শাপলা চত্বরে মেয়র প্রার্থী মোস্তফার পক্ষে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা বলেন, রংপুরের উন্নয়নের জন্য এরশাদের প্রার্থীর বিকল্প নেই। কারচুপি হলে, সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকিও দেন নেতারা।
জাপা কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, রংপুরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে এরশাদের সম্পর্ক। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হলে আমাদের প্রার্থীই জিতবে। আশা করছি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে তারা গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
জানা গেছে, দলের যেসব এমপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে রংপুরে অবস্থান করছেন তারা নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না, তবে তারা নির্বাচনী এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। নেতাকর্মীদের লাঙলের পক্ষে করণীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
লাঙলের পক্ষে ভোট চাইতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ সারাদেশ থেকে অবস্থান নেয়া ১০ হাজার নেতাকর্মী এখন রয়েছেন রংপুর সিটি এলাকায়। তারা সেখানে লাঙলের পক্ষে ভোট চাইছেন। প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হয়ে গেলে, তারা আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার লাঙলের প্রার্থীর পক্ষে রংপুরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি,সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্রসমাজ, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর,জয়পুরহাট, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় জাপা নেতা সুজনদের নেতৃত্বে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাপলা চত্বর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে লাঙলের পক্ষে গণসংযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রসমাজের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, জাপা কদমতলী সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাঈনুদ্দিন বাবু, যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর হোসেন, দক্ষিণ যুবসংহতির সম্পাদক মো. মামুনসহ আরো অনেকে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা জানান,রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলের জন্য চ্যালেঞ্জ। পার্টির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ নির্বাচনে জিতে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করব। রসিক নির্বাচনে ভোটাররা আমাদের প্রার্থীকেই জয়ী করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আমাদের প্রার্থী মোস্তফার কোনো বিকল্প নেই। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে অতীতে উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখেছেন। জনগণকে সেবা দিয়েছেন। তিনি অন্য প্রার্থীদের তুলনায় সবদিক দিয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞ।
দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে সোমবার রংপুর ছুটে যান এরশাদসহ শীর্ষনেতারা। একইদিন রংপুরে পৌঁছেন ঢাকা মহানগর জাপা দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ শীর্ষনেতারা।
এর আগে নির্বাচনী তদারকি ও গণসংযোগে অংশ নিতে রংপুরে অবস্থান নেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির,নুরুল ইসলাম নুরু,
যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক ভূইয়া, হারুনুর রশিদ, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা, ছাত্রসমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, দেলোয়ার হোসেন মিলন, মিয়া আলমগীর, শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম আসরাফুজ্জামান খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুস মৃধা, মো. বাচ্চু হাওলাদার, শেখ মুজিবুর রহমান সাগর, মহিলা সম্পাদক আন্জু আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, জিএম বাবু মন্ডল, তিতাস মোস্তফা, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, দেলোয়ার হোসেন মিলন, মজিবুর রহমান মজিব, সুজন দে, মিয়া আলমগীর, স্বপন চৌধুরী, জুলফিকার হোসেন, খন্দকার ফিরোজ আহমেদ, আবদুস সাত্তার, আকতার দেওয়ান, শেখ মো. শান্ত, ইউনুস মৃধা, জিল্লুর রহমান, এমকে হাসান, লতিফ মিয়া, বেলায়েত হোসেন, জাতীয় পার্টি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
জাপা কেন্দ্রীয় সদস্য সুজন দে আজকের বাজারকে জানান, লাঙলের বিজয় সুনিশ্চিত। যেদিকে যাচ্ছি এরশাদের প্রার্থীর জয়জয়কার। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারলে, মোস্তফার বিজয় নিশ্চিত।
রংপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার প্রথম নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবিতে হাতছাড়া হয়ে যায় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ। এতে দলের ভাবমূর্তির পাশাপাশি বৃহত্তর রংপুরে
সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে এরশাদের ইমেজ ও জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এবার নির্বাচনে জিতে সেই ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে চান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
লাঙলের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা আজকের বাজারকে বলেন, রসিক নির্বাচনে পল্লীবন্ধু এরশাদের পক্ষে, জাতীয় পার্টির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর নির্বাচনে সেই জোয়ারের প্রতিফলন দেখবে দেশবাসী। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার জয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
জাপার পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা রংপুরে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
জাপার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে সিটি নির্বাচনে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে দলের চেয়ারম্যানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী এখন রংপুরে অবস্থান করছেন। যদিও এরশাদসহ দলীয় এমপিরা সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না।
বরিশাল থেকে আগত বরিশাল মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন,দল ও এরশাদকে ভালোবেসেই নিজ খরচে রংপুরে এসেছি। আমরা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছি। আমরা রংপুরবাসীর সাথে আছি। সরকার যদি কোনো রকম ভোট ডাকাতির চেষ্টা করে, তাহলে এখান থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার শপথ গ্রহণ করবো।
রংপুরে অবস্থানরত জয়পুরহাট জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা আজকের বাজারকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার কোনো রকম জালিয়াতির আশ্রয় নেবে না। রংপুরের মাটি ও মানুষ পল্লীবন্ধুকে জেলে থেকে দুই দুইবার নির্বাচিত করে মুক্ত করেছিলো। এবারো ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ করবে রংপুর মানে এরশাদ আর এরশাদ মানে রংপুর।
ঢাকা থেকে আসা ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের বলেন, নিজ খরচে ঢাকা থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে রংপুরে এসেছি। আমরা আশা রাখি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো।
রংপুরে অবস্থানরত জাতীয় কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মামুন বলেন,আঞ্চলিক নির্বাচন হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের শক্তির পরীক্ষা। এ নির্বাচন যদি সরকার ও নির্বাচন কমিশন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমার মনে হয় এ সরকার বা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো দল বা ব্যক্তি কোনো নির্বাচনে যেতে চাইবে না।
এদিকে দলের জয় নিশ্চিত করতে ঢাকা এবং আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা পুরো রংপুর শহর চষে বেড়াচ্ছেন। তারা ভাগ করে বিভিন্ন ওয়ার্ড,হাসপাতাল,বাজার,মার্কেট,বাজার,বাসস্ট্যান্ডসহ সর্বত্রই চালাচ্ছেন লাঙ্গলের পক্ষে প্রচার।
চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, দিনাজপুর,জয়পুরহাট, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, টাঙ্গাইল, পাবনা, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার জাপা নেতারা এখন রংপুরে অবস্থান করছেন।
আজকের বাজার: এলকে/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭