রসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই: সিইসি

আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিএনপির সেনা মোতায়েনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে রসিক নির্বাচন-২০১৭ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জনান, এ নির্বাচনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২২ থেকে ২৩ জন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর আশঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীর এ অভিযোগ সঠিক না। অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এজন্য আমরা বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার হলে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নজরদারি করছে। নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কালো টাকা ব্যবহারের তথ্য পেলে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করলেও আগামীকাল শুক্রবার থেকে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন এবং নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলেও তিনি জানান।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সভায় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সপুার মিজানুর রহমান, রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৭ ডিসেম্বর ২০১৭