রাকিব হত্যা মামলায় আসামীদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন

শিশু রাকিব হত্যা মামলায় ২ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শরিফ ও মিন্টু। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানী শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

আদালতে আসামী পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট এসএম মবিন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালের জহিরুল হক জহির।

গত ১০ জানুয়ারি পেপারবুকের ওপর শুনানি শুরু করে হাইকোর্ট। তারপর মোট ১১ দিন আসামির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি খন্ডন শেষে মামলার রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাকিব হত্যা মামলার রায়ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কাযকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তাঁর সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে পায়ুপথে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর এই রায় ঘোষণা করা হয়।