রাখাইনে গণকবরের সন্ধান মিলেছে

FILE - In this Friday, Oct. 14, 2016 file photo, Myanmar police officers patrol along the border fence between Myanmar and Bangladesh in Maungdaw, Rakhine State, Myanmar. Myanmar's government on Sunday, Nov. 13, reported fierce fighting in the western state of Rakhine, where the army has been conducting counterinsurgency operations since nine police officers were killed in attacks on posts along the border with Bangladesh last month. (AP Photo/Thein Zaw, File)

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করেছে। সোমবার ১৮ ডিসেম্বর মায়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও স্ট্যাটাসে জানানো হয়। খবর: বিবিসি।

গত ২৫ আগস্ট যখন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা রাখাইনের ৩০টি পুলিশি ও একটি সেনা চৌকিতে হামলা চালায় তখন সেনাবাহিনী অত্যন্ত কঠোর, পরিকল্পিত ও ধ্বংসাত্মক উপায়ে জবাব দেয়া শুরু করে। সেনাবাহিনীর এই অভিযানে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়েছেন।

মিন অং হ্লেইংয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়, রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিত্তে থেকে ৩০ মাইল উত্তরের গ্রাম ইন দিনে একটি গণকবরে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে ওই গণকবরে ঠিক কত সংখ্যক মরদেহ রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

সেনাবাহিনী বলছে, ওই গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছে। মিন অং হ্লেইং বলেছেন, ইন দিন গ্রামের গণকবরে মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মিয়াত মিন ওও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছে; তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এদিকে, চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পরিকল্পিত নিপীড়নের ধরন দেখে এটিকে গণহত্যা না বলে পারা যায় না। জেনেভায় জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে তিনি বলেন, সামরিক অভিযানের পরিসরে এটি পরিষ্কার যে, উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭