অবশেষে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে গেলেন মায়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সাং সু চি। গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে ‘সহিংসতা’ ছড়িয়ে পরার পর এটাই ওই রাজ্যে তার প্রথম সফর।
তবে এটা নিশ্চিত না তিনি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পরিদর্শনে যাবেন কিনা ?
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এক দিনের এই সফরে তিনি রাজ্যটির রাজধানী সিত্তইসহ অন্যান্য এলাকা পরিদর্শন করবেন।২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সু চির মুখপাত্র জ হ্তওয়ে এএফপিকে বলেছেন, সফরকালে সু চি মংডু ও ভুতিংডুও সফর করবেন।
উল্লেখ, গত ২৫ আগস্ট থেকে রাজ্যটিতে শুরু হওয়া সেনা অভিযানে প্রাণভয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা। ওই অভিযানকে জাতিসংঘ জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে মায়ানমার সরকার ও সু চি সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সু চি বলেছিলেন, রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এই নেত্রী বলেছিলেন, আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।
এছাড়া আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ করবে বলেও জানান মায়ানমারের এই নেত্রী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে সু চি বলেন, পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের যেকোনো সময় ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার প্রস্তুত আছে।
তখন তিনি রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিদর্শনে যাওয়ার আহ্বানও জানান।
তখন তিনি বলেন, আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করি। রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। রাখাইনে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তবে রাখাইন রাজ্যের চলমান অবস্থা নিয়ে বৈশ্বিক চোখরাঙ্গানির তোয়াক্কা তার সরকার করে না বলেও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে একপেশে অবস্থানের কারণের সারা বিশ্বেই সমালোচিত হচ্ছেন অং সাং সু চি। বিভিন্ন সময় তাকে দেওয়া বেশ কিছু সম্মাননাও প্রত্যাহার করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২ নভেম্বর ২০১৭