গত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়।
এদিকে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে হবে কেবল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকেই।
সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন ভ্যাট আইনের কারণেই সরকার বেশি রাজস্বিআদায়ের আশা করছে। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর রাজস্ব আদায়ের যে চিত্র তাতে অর্থমন্ত্রীর এই লক্ষ্য পূরণ হতে পারে। তাদের মতে, চলতি বছরের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অধরা থাকলেও এবার অর্থমন্ত্রীর হাতে আছে ভ্যাট আইনের মোক্ষম অস্ত্র। আর তাতে উতরে যেতে পারেন মুহিত।
এবারও ভ্যাট খাতে ৩৫ শতাংশ বেশি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হচ্ছে। এই খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্র ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৬৫ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে।
এছাড়া আয়কর খাত থেকে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৮৭ হাজার কোটি টাকা। আর শুল্ক খাতে ৭৩ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এছাড়া কয়েকটি আয়কর, সারচার্জ, উৎসে করও বাড়তে পারে কয়েক খাতে। আর এই সব মিলিয়েই মুহিতের এই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।