রাজস্ব আদায়ে আবারো চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের রেকর্ড

রাজস্ব আদায়ে আবারো রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সে সাথে এবারই প্রথম প্রবৃদ্ধিও অর্জিত হতে যাচ্ছে ২০ শতাংশের বেশি।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা সচল থাকায় রাজস্ব আদায়ে এই অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের ধারা ধরে রাখতে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের অবস্থানের কারণে জাতীয় রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। আমদানি-রপ্তানিও ক্রমশ বাড়তে থাকায় প্রতি বছরই বাড়ানো হয় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা।

গত বছর ৩৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হওয়ায় চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪৮ হাজর কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে কাস্টম হাউজ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, টিম ওয়ার্ক বাড়িয়েছি। বকেয়া আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। কোর্ট কেসের মাধ্যমে বেশকিছু মামলা নিষ্পত্তি করেছি। এই সব কর্মসূচির কারণে মে-জুনে আরো অনেক বেশি রাজস্ব আদায় হবে।

গত অর্থ বছরের পুরোটা সময় দেশে তেমন কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিলো না। বিঘ্ন ঘটেনি বন্দরের পণ্য ওঠা-নামার কার্যক্রমেও। যে কারণে রাজস্ব আদায়ের সাথে সাথে প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এই অবস্থা ধরে রাখতে গেলে কাস্টম, বন্দর ও স্টোকহোল্ডারদের এক যোগে কাজ করতে হবে।

সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, আমাদানী বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই রাজস্ব বেড়েছে।

আজকের বাজার/একেএ