রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং সম্ভাবনাময় যেসব খাত ও ব্যক্তি এখনও করের আওতার বাইরে রয়েছে, তাদের থেকে কর আদায়ে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।

তিনি বলেন, ‘আসন্ন বাজেট হচ্ছে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই স্বাভাবিকভাবে এবারের বাজেট হবে ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেট।এই বাজেটের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে।এর জন্য যেসব খাত ও ব্যক্তি এখনও করের আওতার বাইরে রয়েছে, তাদের থেকে কর আদায়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাই।’

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। তবে এর জন্য আমরা জোর করে কারোর কাছ থেকে কর আদায় করতে চাই না।আপনাদের পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে রাজস্ব আহরণ করতে চাই।

ফিকি সভাপতি শেহজাদ মুনীম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের করপোরেট কর হার বেশি।শিল্পায়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর স্বার্থে সব ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার ৫ শতাংশ করে কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে এবার যেসব প্রস্তাব পাচ্ছি,ব্যবসায় কার্যক্রম সহজ করার স্বার্থে এর মধ্যে অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।

ব্যাকিং খাতের প্রভিশন ঋণকে করমূক্ত করার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা করা যাবে না। কারণ ঋণ খেলাপীরা ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করছে। প্রভিশনের অর্থকে করমূক্ত করার সুযোগ নেই।

ব্যবসায়ীরা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন, ১৯৯১ এর আওতায় নতুন ভ্যাট আইনের কিছু নীতি যেমন-প্রগতিশীল কর হার চালুর প্রস্তাব করেন। এ বিষয়ে এনবিচার চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ২ বছর পেছালেও, আমরা এখন থেকে এই আইনের কিছু বিষয় বাস্তবায়ন করতে পারি। প্রগতিশীল কর হার অত্যন্ত ভাল প্রস্তাব, বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, অনেক বহুজাতিক কোম্পানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে-তারা অনেক ক্ষেত্রে জনগণের কাছ থেকে করের টাকা কেটে রাখছে। কিন্তু সেই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দেন না। এই অভিযোগ আমরা আর শুনতে চাই না। জনগণের করের টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে।

সভায় ফিকির লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল খালেক।