চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সোমবার ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মানবাধিকার সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
দারিদ্য জনগোষ্ঠির প্রত্যাশা সামাজিক নিরাপত্তা জাল কর্মসূচি শীর্ষক ওই প্রাক-বাজেট আলোচনায় এপিপিজির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডা. দিপু মনি।
৬ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি এই অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পরিবর্তন করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হতে পারে। তবে কি পরিমাণের কমবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
এর আগে, রাজস্ব আহরণ ভালো না বলে স্বীকার করলেও রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন হবে না বলেও জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত ১০ জানুয়ারি সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উইথ নো চেইঞ্জ কালেকশান টার্গেট। কিছুই চেইঞ্জ হবে না।
উল্লেখ, চলতি অর্থবছর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। এ বাজেটে আইন-শৃঙ্খলা খাতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এছাড়া সার্বজনীন পেনশন স্কেল এবারের মতো আগামী বাজেটেও থাকবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে সবাই বলেছে দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। তবে আমি মনে করি, আপেক্ষিকভাবে দেশে দ্রারিদ্যের হার তেমন কমেনি। দেশে এখনও অনেক অতি দ্রারিদ্য জনগোষ্ঠি রয়েছে। এদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এর আগে, বৈঠকে অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জামান বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলের এখনও দারিদ্য সমস্যা আছে। এর থেকে বের হতে হলে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এছাড়া দারিদ্য জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের সু্বিধা দিতে হবে।
আজকের বাজার:এলকে/ ২৯ জানুয়ারি ২০১৮