রাজিবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ: আপিলের আদেশ সোমবার

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রাজীব হোসেনের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বজন পরিবহন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) মালিককে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসির করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী সোমবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে আগামী এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিতে হবে। আর এ টাকা রাজীবের খালা জাহানারা বেগম ও তাদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা ওমর ফারুকের যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা হবে। মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের মূল শাখায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি খোলার নির্দেশ দেন আদালত।

ক্ষতিপূরণের ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করে ২৫ জুনের মধ্যে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল দুই বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সময় দুই যানের চাপায় পড়ে হাত হারান রাজীব। পরে শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাজীব মারা যায়।

রাজীবের আহত হওয়ার পরদিন ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইন সংশোধন বা নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ১৬ এপ্রিল রাজিব মারা যাওয়ার পর ৬ মে এ তথ্য আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী।

আজকের বাজার/ এমএইচ