রানা প্লাজা ধসের ৭ বছর আজ

রানা প্লাজা ধ্বসের পর পেরিয়েছে ৭ বছর। তবে এতটা সময়েও নিষ্পত্তি হয়নি এ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলা গুলোর। অন্যদিকে করোনার প্রভাবে আরো গভীর এক সংকটের পথে দেশের তৈরি পোশাক খাত। বিশ্লেষকদের মতে, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি মোকাবিলায় সবার মাঝে যে সমন্বয় ছিল তেমনটা চোখে পড়ছে না এই সংকটে।

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ এখন বড্ড নিস্তব্ধ। করোনাকালে থেমেছে কোলাহল। বছর ঘুরলেই শ্রমিকের যে আর্তনাদে ভারি হত বাতাস, নেই তার কোনকিছুই। সাক্ষি হয়ে আছে শুধু নিশ্চুপ এই স্তম্ভ আর স্মৃতির সেতুগুলো।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৭ বছরে দেশের তৈরি পোশাক খাতে বদলেছে যে কতকিছুই, পাল্টেছে কারখানার পরিবেশ, একসময় ঘুরে দাঁড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু এবার সময়টা ভিন্ন। আবারো বড় সংকটের আভাস। যে সংকটের শুধু কার্যকারণ বদলেছে, বদলায়নি ধরণ। দুর্ভাবনায় শ্রমিক আবারো বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ। এতবছরে এত কিছু সামলেও তাই যেন ঠিক সামলে নেয়া গেলনা।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর ক্রেতাদের আশস্ত করতেই মালিকদের দিন গেছে। সাথে ছিল ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের পুনর্বাসন আর ক্ষতিপূরণ দেবার চাপ।

এবার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেবার চাপ আছে। ক্রয়াদেশ ধরে রাখার দুশ্চিন্তা আছে, তবে কারখানা খোলা রাখাই যে দায়।

রানা প্লাজা ধ্বংসস্তুপের সেই স্থানে আজ সবুজ জেগেছে। প্রকৃতির নিয়মেই পুরনোকে ফেলে পৃথিবী ঠিক হয় একদিন। তবে রয়ে যায় যে ক্ষত তা কাটে কি কখনো?