রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেছে শাখা ছাত্রলীগেরএক কর্মী। বুধবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ঘটনার সাথেজড়িত থাকার অভিযোগে হামজা নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর।

আহত শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের ও সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম হৃদয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আবু হামজা গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল তার বান্ধবিকে নিয়ে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশে বসে ছিল। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হামজা ও তার বন্ধুরা সাইফুলের বান্ধবিকে টিজ করে। এতে সাইফুল ও হামজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বান্ধবিকে হলে পৌছে দিয়ে ফেরার পথে চতূর্থ বিজ্ঞান ভবনের পাশে তুথ বাগানের কাছা কাছি আসলেই ধস্তা-ধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে হৃদয়কে ছুরি দিয়ে তল পেটে আঘাত করে হামজা। এতে ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত হৃদয়কে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে আসে। তবে হৃদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রামেকে প্রেরণ করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

এর আগে গত সোমবার শের ই বাংলা হলে এমফিলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে অভি সরকার ও কাউসার। তারাও সাদ্দামের অনুসারী ছিল বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনার পরে বিজ্ঞান ভবনের সামনে গিয়েছিলাম। পরে অভিযুক্ত হামজাকে পুলিশে দিয়েছে প্রক্টর।

তবে হামজা তার অনুসারি কিনা তা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘ছেলেটি আমার পরিচিত। হলে উঠার ব্যাপারে বেশ কয়েকবার আমার সাথে যোগযোগ করেছিল’।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু হামজাকে আটক করা হয়েছে। আহত হামজা রামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে’।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সাইফুলের কাছ থেকে মোবাইল,মানিব্যাগ ছিনাতাইয়ের চেষ্টা করছিল হামজা। এ সময় ধস্তা-ধস্তির এক পর্যায়ে হামজাসহ কয়েকজন মিলে হৃদয়কে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সে এখন রামেকে চিকিৎসাধীন আছে’।

অন্তু/রাসেল