চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ার আগেই পুতিন বিরোধী বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা।মস্কোসহ বেশ কয়েকটি শহরে তাদের বিক্ষোভ করতে দেখায় যায়।সারাদেশে অন্তত ১৬’শ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চতুর্থবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ভ্লাদিমির পুতিন। ঠিক এর আগে পুতিনবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। তার আহ্বানে রাজধানী মস্কোসহ রাশিয়াজুড়ে ৯০টি স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ।
আন্দোলনকারী একজন বলেন,’আমি পুতিনকে পছন্দ করি না। আমি চাই না সে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসুক। সে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে।’
পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা আরেকজন বলেন, ‘আমাদের তেল ও গ্যাসের মুনাফা কোথায় যাচ্ছে? যে দামে গ্যাস রপ্তানি করা হয়, তার থেকেও আমরা তিনগুণ মূল্য পরিশোধ করি। রাশিয়ার জনগণের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অবিচার করা হচ্ছে। সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়াকে আমি দায়িত্ব মনে করছি।’
প্রধান বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী মস্কোর পুশকিন স্কয়ারে। দুপুর দুইটার দিকে সেখানে পৌঁছান নাভালনি। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়া শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় তাকে আটক করে পুলিশ।
বিরোধী নেতা ইলায়া ইয়াসিন বলেন, ‘আটকের সময় আমাদের নেতা নাভালনি আহত হয়েছেন। আমি পুলিশ প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে দ্রুত তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আমরা জানি নাভালনিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে আটক করা হয়েছে।’
বিরোধী নেতাকে আটকের পর পুশকিন স্কয়ার থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় ভ্লাদিমির পুতিন। ছয় বছর মেয়াদে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন ৬৫ বছর বয়সী এই নেতা। যদিও মার্চের ওই নির্বাচন বর্জন করে প্রধান বিরোধী দল।
আরজেড/