রাশিয়া ও বেলারুশের সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

রাশিয়া ও বেলারুশ শুক্রবার ইইউ’র সীমান্তে যৌথভাবে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বেলারুশ ও তাদের পশ্চিমা প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ন্যাটোর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের মধ্যেই তারা সপ্তাহব্যাপী এ সামরিক মহড়া শুরু করলো। খবর এএফপি’র।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় দেশের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে জাপাদ-২০২১ নামের এ সামরিক মহড়া এক সপ্তাহ ধরে চলবে। বেলারুশ, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও বাল্টিক সাগরে এ মহড়া চালানো হবে।
মস্কো জানায়, দুইলাখ সেনাসদস্য এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া তার বেলারুশ মিত্র আলেকজান্ডার লুকাশেনকো বলেন, তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ তাদের সাবেক সোভিয়েত দেশ গুলোর বন্ধন গভীর করার ব্যাপারে সম্মত হওয়ার এক দিন পর এই সামরিক মহড়া শুরু হলো।
বেলারুশের পশ্চিমা প্রতিবেশি দেশ গুলো এ সামরিক মহড়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীদের অন্তঃপ্রবাহের পর পোল্যান্ড বেলারুশের সাথে তাদের সীমান্ত বরাবর নজিরবিহীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের এ অন্তঃপ্রবাহের জন্য ওয়ারস ও মিনস্ক সরকারকে দায়ী করে।
এ সামরিক মহড়া উপলক্ষে মস্কোতে আলোচনা করার সময় পুতিন ও লুকাশেনকো বলেন, তারা তাদের সামরিক বন্ধন শক্তিশালী করবেন।
রাশিয়া নেতা বলেন, এ সামরিক মহড়া সরাসরি কোন দেশের বিরুদ্ধে না হলেও ন্যাটোর মতো অন্যান্য ইউনিয়ন রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্তে তাদের সামরিক উপস্থিতি সক্রিয়ভাবে জোরদার করার প্রেক্ষাপটে এমনটা করা যৌক্তিক।
লুকাশেনকো বলেন, রাশিয়া ও বেলারুশ ‘এমন কিছুই করছেনা যা আমাদের প্রতিপক্ষরা করেনি।’
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা পুতিন এবং প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেনকো বৃহস্পতিবার তাদের সম্পর্ক আরো গভীর করার বিভিন্ন চুক্তির পরিসরের ঘোষণা দেন।
এ সময় এ দুই নেতা বলেন, তারা একটি সমন্বিত আর্থিক নীতি তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
লুকাশেনকো বলেন,তারা সামরিক বন্ধন শক্তিশালী করার বিষয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।