কোটা সংস্কার আন্দোলন

রাশেদসহ পরিষদের তিন নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্য দুজন হলেন- মাহফুজ খান ও সুমন কবীর। তারাও পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।

রোববার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় ডিবি।

পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দুপুর ১২টার পর মিরপুরে রাশেদের বাসা থেকে তাদের তিনজনকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। আমরা ডিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তবে এ বিষয়ে এখনও ডিবি পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না করায় শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে নুরুল্লাহ নূরকে মারধরের সময় তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জাভেদ আহমেদ। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। এতে তার হাতের একটি আঙুল কেটে যায়।

এদিকে সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

আজকের বাজার/এমএইচ