রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিশ্বজিতের পরিবার

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিশ্বজিতের পরিবার। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। আবারও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার দাবি জানান বিশ্বজিতের পরিবার।

বিশ্বজিতের বাবা অমরত্ন জানান, এই রায়ে কষ্ট পেয়েছি। ফাঁসির আসামি কিভাবে খালাস পেতে পারে। তার দাবি, এ রায়ে ন্যায় বিচার হয়নি। আশা ছিল, আসামিদের ফাঁসির রায় আসবে। কিন্তু তা না হয়ে খালাস পেয়েছে আসামিরা। এখন তারা আবার হামলা করতে পারে।

এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের দাবি, ছেলেকে হারিয়ে এমনিতেই অনেক কষ্টে আছি। এখন তার হত্যাকারীদের ফাঁসি হলে শান্তি পেতাম। কিন্তু এখন দেখছি অনেককেই ফাঁসির দণ্ড না দিয়ে খালাস দেওয়া হচ্ছে।

হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যার ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল ঢাকার বিচারিক আদালত। হাইকোর্ট বিভাগে আসামি পক্ষ আপিল করলে আজ সেই আপিলের রায় প্রকাশ করা হয়। সেই রায়ে ৮ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে দুই জনের (রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদার) ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ৪ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কাইয়ুম ও সাইফুলসহ ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া যে দুইজন আপিল করেছিলেন সেই দুজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৬ আগস্ট ২০১৭