বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
শনিবার ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিশু একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচনা করেছে বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিউইয়র্ক ফেডের কর্মকর্তারা কনফারেন্স কলের মাধ্যমে আরসিবিসি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনায় সুইফটের দুই প্রতিনিধিও অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সম্পর্কে অবহিত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মামলার পরিকল্পনার বিষয়টি জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী থেকে রিজাল ব্যাংকটাকেই বিদায় করতে হবে।অর্থ চুরির পর থেকে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংককে টাকা ফেরতের ব্যাপারে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে গড়িমসি করায় এখন শক্ত পদক্ষেপের সময় এসেছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে ফিলিপাইন সরকার। একটি নির্দিষ্ট সময় পর যদি চুরি হওয়া সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধার না হয়, তবে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। এরমধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে। আরেক আদেশে শ্রীলংকায় পাঠানো হয় ২ কোটি ডলার।
শ্রীলংকায় পাঠানো অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের ব্যাংকে যাওয়া অর্থের বেশিরভাগই ক্যাসিনোতে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে এক ক্যাসিনো মালিক দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ ডিসেম্বর ২০১৭