আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেয়া মনোনয়নপত্র বাতিল এবং গ্রহণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশন বেধে দেয়া তিন দিন সময়ের মধ্যে মোট ৫৪৩টি আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে বুধবার ২২২টি, মঙ্গলবার ২৩৭টি এবং সোমবার জমা পড়ে ৮৪টি আবেদন। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব আপিল নিষ্পত্তি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচন কমিশন, আপিল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুনানি শুরু করবে এবং তাৎক্ষণিক আপিল নিষ্পত্তি করবে।’
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘সিরিয়াল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১৬০টি আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। শুক্রবার ১৫০টি এবং বাকি ২৩৩টি শনিবার নিষ্পত্তি করা হবে।’
তিনি বলেন, আপিল নিষ্পত্তি শেষে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্তের কপি হস্তান্তর করবে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যদি কোনো সংসদীয় আসনে কোনো রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রার্থী থাকে তাহলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দল ইমেইলের মাধ্যমেও চিঠি পাঠায় তাহলে সেটি অফিসিয়াল চিঠি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’
নির্বাচন ভবনে ইতিমধ্যে শুনানির জন্য কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। আপিল শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। অন্য কমিশনাররাও এসময় উপস্থিত থাকবেন।
আবেদন শুনানির পর ইসির সিদ্ধান্ত মনমতো না হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে যেতে পারবেন।
আসন্ন ১১তম সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেয়া মনোনয়নপত্রগুলোর মধ্যে রবিবার মোট দুই হাজার ২৭৯টি গ্রহণ এবং ৭৮৬টি বাতিল করে দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১০ ডিসেম্বর। প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। তথ্য-ইউএনবি
আজকের বাজার/এমএইচ