রেকর্ড ‘বাঘি ২’

বলিউডে মুক্তির প্রথম দিনেই রেকর্ড করেছে টাইগার শ্রফ ও দিশা পাটানি অভিনীত ‘বাঘি ২’। মুক্তির আগে ছবিটি নিয়ে দুজনার উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। মুক্তির পর সেই উত্তেজনা বেড়ে গেল কয়েকগুণ। প্রথম দিনের ব্যবসার নিরিখে বহু মাল্টিস্টারার হিন্দি ছবিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ‘বাঘি ২’।

টাইমস নাও এক প্রতিবেদনে জানায়, মাত্র একদিন এই ছবি ২৫.১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অ্যাকশনের সঙ্গে টাইগার শ্রফ এবং দিশা পাটানির চুটিয়ে ড্যান্স পারফরম্যান্স দর্শকদের নজরে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, প্রথমদিনের ব্যবসার নিরিখে রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ‘বাঘি ২’। ট্রেড বিশেষজ্ঞদের মতে এই সপ্তাহে পরপর ৩ দিন ছুটি থাকায় আরো কিছু ব্যবসা করবে এই ছবিটি। একই সঙ্গে টাইগারের ফ্যানের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সেই দিকটাও ফেলতে পারছেন না ফিল্মি সমালোচকরা।

এদিকে ছবিটি নিয়ে শুরু হয়েছে ভিন্ন আলোচনা। প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও করা হয়েছে ছবিটি নিয়ে। ছবিতে দেখা গেছে- শুরুতেই অ্যাকশন। শেষও হয়েছে অ্যাকশন দিয়ে। মাঝে একটু রোম্যান্স এবং ইমোশন। এটা দিয়েই পরিচালক আহমেদ খান বানিয়েছেন ছবি ‘বাগী ২’৷

ছবিতে রণি (রণদীপ প্রতাপ সিং) একজন আর্মি অফিসার। রণির সঙ্গে গোয়ায় গিয়ে দেখা হয় তার এক্স গার্লফ্রেন্ড নেহার (দিশা পাটানি)। যার ছোট্ট মেয়ে নিখোঁজ। তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না স্থানীয় প্রশাসন। সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় রণি। তারপর জমজমাটি ফাইট সিক্যোয়েন্স। যা ছবির ইউএসপি।

এটুকু বলা যেতে পারে টাইগারের অ্যাকশনই দর্শকদের বসিয়ে রাখছে সিনেমা হলে। যদিও ছবির মধ্যে নাকি অযথা অ্যাকশন সিক্যোয়েন্স রাখা হয়েছে। বোদ্ধা দর্শকরা প্রশ্ন তুলেছেন- ছবিতে কেন এত ফাইট? কেন এখানে সেখানে ফাইট? এতটাও অ্যাশনের কি দরকার ছিল? কিন্তু কি আর করা যাবে, এই ছবির ফ্রাঞ্চাইজির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে টাইগারকে অ্যাকশন হিরো রূপে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করা।

টাইগারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই। দিনে দিনে সে অ্যাকশন স্কিল ভালোই ডেভলপ করছে। ছবিতে অ্যাকশন ছাড়াও ডায়লগের একটা বড় ভূমিকা ছিল, যেখানে টাইগার পুরোপুরি ডিজাস্টার। ছবিতে দিশার স্ক্রিন প্রেজেন্স অসাধারণ। তবে অভিনয়টা আরো পোক্ত করা প্রয়োজন।

‘বাগী ২’ তে তার যতটা অভিনয় দরকার ততটাই করেছেন তিনি। তবে ছবির মূল সম্পদ মনোজ বাজপেয়ী (ডিগ), রণদীপ হুডা (এলএসডি), প্রতীক বব্বর (সানি)৷ তবে এই চারজনকে খুব একটা দেখা যায়নি।

পরিচালকের আসনে আহমেদ খানের কেরিয়ারে বেস্ট ছবি আপাতত এটাই। ছবির গান মোটামুটি ঠিকঠাক। স্ক্রিনপ্লে অসাধারন। লোকেশন ছবির জন্য পারফেক্ট।

এস/