রোনাল্ডোর হ্যাট্রিক

এবারের বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। এরমধ্যেই শৈল্পিক সৌন্দর্যের এক অসাধারণ ম্যাচে মন ভরে উঠেছে ফুলবলপ্রেমিদের। বলছি পর্তুগাল ও স্পেনের দ্বৈরথের কথা। যে ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা, সেই সঙ্গে নান্দনিকতার ঝলক।

গোলের খেলা ফুটবল। এদিক থেকেও দারুণ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে ইউরোপের অন্যতম সেরা দুই দল। ড্র হওয়া এই ম্যাচে উভয় দল ৩টি করে গোল করেছে। এখানেই শেষ নয়। এই ম্যাচে হ্যাট্রিক করে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছে পর্তুগিজ অধিনায় ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো।

রাশিয়ার সোচি শহরের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২টায় মুখোমুখি হয় স্পেন-পর্তুগাল। খেলা শুরুর মাত্র চার মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন রোনাল্ডো। ম্যাচ শুরুর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো নিজেদের পেনাল্টি বক্সে ফাউল করে বসেন রোনালদোকে। সুযোগ নষ্ট করেন নি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

২৪ মিনিটের মাথায় ম্যাচে ফিরে আসে স্পেন। দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তা।

প্রথমার্ধের ঠিক শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে করা রোনাল্ডোর নিচু হয়ে আসা জোরালো শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন স্পেনের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। প্রথমার্ধ শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।

বিরতির পর দিয়েগো কস্তার দ্বিতীয় গোলে আবার সমতায় ফেরে স্পেন। এটি ম্যাচে কস্তার দ্বিতীয় গোল। এর কয়েক মিনিট পরই পর্তুগালের ডি-বক্সে নেওয়া জোরালো শটে স্পেনের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন নাচো। ৫৮ মিনিটে করা তার গোলেই ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন।

আবারও ক্যারিশমার ঝলক দেখিয়ে পর্তুগালকে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচিয়ে দেন অধিনায়ক রোনালদো। ৮৮ মিনিটের মাথায় নেয়া তার বাঁকানো ফ্রি কিক ঠেকাতে ব্যর্থ হন স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডি গিয়া। রোনালদো তুলে নেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে।

রোনাল্ডোর এই হ্যাট্রিক তার নিজের ব্যক্তিগত ও বিশ্বকাপের ৫১তম হ্যাট্রিক।