রোমাঞ্চকর জয় পেল ঢাকা

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছিল ঢাকা ডাইনামাইটস। সেই চাপ কাটিয়ে দলে জয়ের আশা জাগান জহুরুল ইসলাম এবং কাইরন পোলার্ড জুটি। তাদের শক্ত জুটিতে ভর করে শতক ছাড়ায় ঢাকা ডাইনামাইটস। দলীয় ১১৪ রানে পোলার্ড আউট হলেও জয় নিশ্চিত করেই অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন জহুরুল ইসলাম। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্য্ন্ত খুলনার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ঢাকা ডাইনামাইটস। ৪ উইকেট ও ১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ৩ বারের শিরোপা জয়ী দলটি।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ও ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানে ফেরেন ওপেরার এভিন লুইস। আবু জায়েদের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন শহিদ আফ্রিদি। দলীয় সংগ্রহে মাত্র ১ রান যোগ করেই শফিউলের বলেই ক্লিঙ্গারের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন আফ্রিদি।
আফ্রিদি ফেরার পর ক্রিজে আসেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দলের ১৩ রান এবং নিজের মাত্র ২ রানে জফরা আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ডেলপোর্ট। এরপর সুনিল নারিনকে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু দলের মাত্র ২৪ রান এবং ব্যক্তিগত ৭ রানে অকিলা ধননজয়ের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নারিন।
নারিন ফেরার পর সাকিবকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন জহুরুল ইসলাম। তবে দলীয় ৪১ রান এবং ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন কাইরন পোলার্ড। জহুরুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় সংগ্রহ শতক ছাড়ান তিনি। এরপরই দলীয় ১১৪ রান এবং ব্যক্তিগত শফিউলের বলে ধীমান ঘোষের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পোলার্ড।
পোলার্ড ফিরে গেলে জহুরুলকে সঙ্গ দিতে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। দলীয় সংগ্রহে মোসাদ্দেক ১৪ রান এবং জহুরুল ৪৫ রান যোগ করে দলের জয় নিশ্চিত করে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন।


এর আগে টসে হেরে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা টাইটানস।
ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাইকেল ক্লিঙ্গার। তবে দলীয় ২২ রান এবং ব্যাক্তিগত ১০ রানের মাথায় সাকিবের বলে আবু হায়দারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্লিঙ্গার। এরপর ক্রিজে আসেন ধীমান ঘোষ। তিনি দলীয় সংগ্রহে মাত্র ২ রান যোগ করেই আবু হায়দারে বলে সাকিবের হাতে ধরা পড়ে সাজঘারে ফেরন।
ধীমান ঘোষ ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন রিলি রুশো। তাকে ক্রিজে রেখেই বিদায় হন নাজমুল হাসান শান্ত। দলীয় ৪৬ রান এবং ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় সুনিল নারিনের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জুটি গড়ার চেষ্টা করেন রিলি রুশোর সঙ্গে। তবে তার সে চেষ্টা ব্যর্থ করেদেন শহিদ আফ্রিদি। দলীয় ৭১ রান এবং ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় আফ্রিদির বলে জহুরুল ইসালামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক।
রিয়াদ ফেরার পর রুশোকে সঙ্গ দিতে আসেন কার্লোস বাফেট। তিনি রুশোর সঙ্গে শক্ত জুটি বেঁধে দলীয় শতক ছাড়ান। এরপর দলের ১২৫ রান এবং ব্যক্তিগত ৩৪ রানের মাথায় আবু হায়দারের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি।
আজকের বাজার: সালি / ১৪ নভেম্বর ২০১৭
রুশো ফেরার পর ক্রিজে আসেন আরিফুল হক। তিনি দলীয় সংগ্রহে ব্যক্তিগত ৪ রান যোগ করেন। আর কার্লোস বাফেট যোগ করেন ৬৪ রান। তারা দুইজনই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬ রান।