রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার সব করবে: প্রধানমন্ত্রী

মানবিকতার দিক বিবেচনা করে মায়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও আমরা ধনী নই। কিন্তু আমাদের হৃদয় আছে। সবকিছুর পরেও তারা মানুষ এবং আমরা তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারি না।’

রোববার ভার্জিনিয়ার রিজ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশ নেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা নারী ও শিশুদের ভয়াবহ কাহিনী শোনেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এসব অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের ‘ভাসান চরে’ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে বেসামরিক প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে কাজ করছে। বাইরের দেশ কিংবা সংস্থা থেকে আসা সাহায্যের জন্য বসে না থেকে আমরা নিজেরাই তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করে দেই।

সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাঁচ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্ধ করেন।

এতো বিপুল পরিমাণে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানানোয় আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই অতিরিক্ত পাঁচ থেকে সাত লাখ পীড়িত মানুষের আহারের ব্যবস্থাও করতে পারবো। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা একবেলা খাবো এবং আরেক বেলার খাবার এসব অসহায় মানুষগুলোর সঙ্গে ভাগ করে নেব। সবকিছুর পরেও আমরা তো মানুষ, এবং আমরা মানবতার পাশে দাঁড়াবো।’

সন্ত্রাস, চরমপন্থা ও মাদক নির্মূলে তার সরকারের বিভিন্ন ভূমিকার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন সাধারন মানুষ সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার একশোটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করেছে। যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ অক্টোবর ২০১৭