রোহিঙ্গাদের ত্রাণ-ভরণপোষণে বাজেট ঘাটতি বাড়বে

মায়ানমারে সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার ত্রাণ বা ভরণপোষণে বাজেট ঘাটতি বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।

২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

এসময় সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ৪ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। কারণ তাদের এই ত্রাণ সহায়তার বিষয়টি বাজেটে ছিল না। তাই এটা বাজেটের চাপ বাড়াবে। তিনি বলেন, এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে মূদ্রাস্ফীতি হবে। তবে জাতীয় পর্যায়ে হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে মনে করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, রোহিঙ্গা ‘শরণার্থীদের’ জন্য সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক প্রস্তুত আছে। বিশ্বব্যাংক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি বলেন, আগামী ৩ বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (আইডিএ) এর ২ বিলিয়ন ডলারের রিফিউজি ফান্ড রয়েছে। যে কোনো দেশ প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য।

এসময়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ঢাকার বাইরে নগরায়ন করতে হবে। মানুষ ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। তবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়ন করা গেলে মানুষ ঢাকার বাইরে যাবে। সেখানে তখন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন এখন বাংলাদেশের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই বড় চ্যালেঞ্জ।এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে কারিগরি শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

উল্লেখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সার্বিক বাজেট ঘাটতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭