রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে ৩০ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ

মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের ৩০ সদস্যের একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে। মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় ২ দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ২ দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শুরু হয়ে এই বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং মায়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন থো। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাপত্র বিনিময় হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ১৫ জন মায়ানমারের ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। বাংলাদেশের পক্ষে গ্রুপে নেতৃত্ব দিবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও মায়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন থো।

বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ৮টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই অংশ নেয়। বৈঠকে অংশ নিতে মায়ানমার থেকে এসেছেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মায়ানমারের নেপিদোতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়, সেটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেই বিষয়েই এই বৈঠক। মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কিভাবে আবার ফেরত পাঠানো হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা। যারা কক্সবাজারের বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

আজকের বাজার: এলকে/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭