রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার: রিয়াজুল

বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ভূমিকা অব্যাহত থাকলে, মায়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দেশটি বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

‘মায়ানমারে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, ভয়াবহ পাশবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়েজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৪ আগস্ট মায়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হয়। ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল শুরু হয়। জাতিসংঘের হিসাবে এ পর্যন্ত চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের কান্নায় পৃথিবীর আকাশ-বাতাস আজ ভারী হয়ে উঠেছে। গণহত্যা করা হচ্ছে অসংখ্য নিষ্পাপ নারী-শিশু যুবক ও বৃদ্ধাকে। এসব ঘটনায় বিশ্ব বিবেক আজ স্তব্ধ। বিশ্ব মানবতার স্বার্থে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে এটা অব্যাহত থাকলে মিয়ান সরকার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়েছেন। তার কাছে আমাদের দাবি সেই অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হোক। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমাদের দাবি থাকবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর যেন চাপ প্রয়োগ করা হয়।’

রিয়াজুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাগরিক। তারা সে দেশের সরকারকে ভোট দিয়েছে, তাই তারা মায়ামারে বসবাস করার অধিবার রাখে।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান ভূইয়া, উত্তরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ছলিম উদ্দীন প্রমুখ।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭