রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াই একমাত্র সমাধান

নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারকে অবশ্যই ফেরত নিতে হবে। আর এটাকেই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলে মনে করেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজভ

গতকাল ২২ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সুষমা স্বরাজ।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানানম, সুষমা স্বরাজ বলেছেন, মায়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। কত দিন ধরে বাংলাদেশে এ ভার বহন করে চলবে। রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান হতে হবে।

গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকে ৬ লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিশাল সংখ্যার এই শরণার্থীদের বাংলাদেশের জন্য ‘বড় বোঝা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কত দিন এই ভার বহন করবে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হতে হবে। রাখাইনে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সুষমা স্বরাজ বলেন, সন্ত্রাস দমন অভিযানে মায়ানমার দেশটির নিরীহ মানুষকে শাস্তি দিতে পারে না। তিনি বললেন, কেন নির্দোষ মানুষ এদের শিকার হবে?

মায়ানমারের থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন ও রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের অবস্থানের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সে দেশের পররাষ্ট্রসচিব জয়শঙ্কর এবং ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৩ অক্টোবর ২০১৭