মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বরিুদ্ধে চলমান মেনা অভিযান নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে এখনও দুইটি পথ। এক দিকে প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা অপর দিকে মায়ানমারকে দেওয়া প্রতিশ্রতি।
ভারতের আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, এক দিকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা। অন্য দিকে মিয়ানমারের অং সাং সুচি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের দুই নেত্রীর মধ্যে কাকে কতটা সমর্থন করা হবে তা নিয়ে এখন প্রবল দোটানায় ভারত।
সম্প্রতি মায়ানমার সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। এরপর ভারতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে বিভিন্ন রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে আছেন।
সম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন। এর পর ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শেখ হাসিনাকে ফোন করে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনজাতির আলাদা পরিচয় মানতে রাজি নয়। তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘বাঙালি মুসলিম’। মায়ানমারের এই যুক্তি মেনে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে জাতিসংঘ তা মানতে রাজি নয়। জাতিসংঘ বলছে, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারেই আশ্রয় দিতে হবে। তাদের আলাদা জাতি পরিচয়ও মানতে হবে মায়ানমার সরকারকে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি যে অত্যন্ত জটিল তা মেনে নিচ্ছেন দিল্লি।
দেশটির কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, মায়ানমারে চীনের প্রভাব ঠেকানোর জন্য সুচি সরকারের কাছাকাছি আসতে চাইছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক দ্রুত বাড়ছে। তাই মায়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে বাংলাদেশকে চিনের হাতে ঠেলে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। ফলে ভারত এখন উভয় সঙ্কটে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭