বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে সোলার এলায়েন্স (আইএসএ) সম্মেলনের ফাঁকে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদী রাষ্ট্রপতিকে এই আশ্বাস দেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে মোদী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় তাদের নিরাপদ, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করার করা হবে।
তিনি বলেন, ভারতের সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে এবং দিন দিন এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতিকে নরেন্দ্র মোদী জানান, ভারত দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুর সমাধান চায় এবং এ জন্য সববিষয় নিয়ে ভারত কথা বলছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরেন যা ব্যাপকভাবে তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টন প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা তাকে (মমতা) সঙ্গে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৪৭ বছর পরে তাঁর আসাম ও মেঘালয় সফরের বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির এই সফরের ব্যাপারে মোদী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আপনি সত্যিকারেই একজন ভালো মানুষ, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘকাল পরে আপনার এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখা ভারতীয় নাগরিকদের সম্মাননা জানানোর ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা সম্মান বোধ করছি।
বঙ্গভবনে সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার প্রশংসা করে বলেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের প্রতিফলন নির্দেশ করে।
সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/