মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, ‘মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাকে বাংলাদেশ সরকার দেখছে না। উল্টো সন্ত্রাস দমনে সরকার মিয়ানমার সরকারের পাশে থাকার বিবৃতি দিয়েছে।’
৯ সেপ্টেম্বর শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মান্না। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশে সিভিল রাইটস সোসাইটি নামে একটি সংগঠন।
মান্না বলেন, ‘যে দেশে অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল পান, সেই দেশে কীভাবে এই রকম নারকীয় ঘটনা ঘটে। মায়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নির্যাতন শুরু হয়, তখন আমাদের দেশের সরকার বিবৃতি দিয়েছিল যে, মায়ানমার সন্ত্রাসবাদ বন্ধে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকবে। এতে বোঝা যায় এই সরকার স্বৈরাচারী।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধকে দেখছে না। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধেও এত বড় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি যা এখন আরাকানে ঘটে চলছে।’
সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘সরকার বিজিবিকে অস্ত্র দিয়েছে শুধু বিরোধী দলকে দমনের জন্য। তাছাড়া এরা আর কোনো কাজ করতে পারে না। এই সরকার ভণ্ড, প্রতারক, মিথ্যুক। সরকার বাইরে কোথাও রোহিঙ্গা সমস্যার কথা বলছে না। এতে বোঝা যায় সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে না পারলে ক্ষমতা থেকে সরে যান। দেশে একটি নির্দলীয় সরকার দিন, সেই সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। তাদের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা হোক।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় স্মরণ মঞ্চের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি সহিদুর রহমান তামান্না আরো অনেকে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭