আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রোহিঙ্গা তরুণী রাফিজাকে বিয়ে করেছেন এক বাংলাদেশি। এ ঘটনার পর পুলিশ ওই বাংলাদেশিকে খুঁজছে। ওই যুবকের নাম শোয়াইব হোসাইন জুয়েল (২৫)। তিনি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকার বাসিন্দা। ৮ অক্টোবর রোববার বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট মায়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের উপর নতুন করে দমন-পীড়ন শুরু করে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে ছুটতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের হিসেবে, ২৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
রোহিঙ্গা রাফিজা পালিয়ে আসা তরুণীদের একজন।
সিঙ্গাইর পুলিশের প্রধান খন্দকার ইমাম হোসাইন বলেন, ‘আমরা শুনেছি, সে একজন রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেছে। আমরা তার খোঁজে চারিগ্রাম গ্রামে গিয়েছিলাম।
কিন্তু সেখানে আমরা তাকে পাইনি এবং তার বাবা-মা জানেন না সে কোথায় আছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের বিয়ের চেষ্টা করছে বলে ২০১৪ সালে অভিযোগ ওঠে। ওই সময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার।
জুয়েলের বাবা বাবুল হোসাইন বলেন, তার ছেলের নাগরিকত্ব দিতে এ বিয়ে করেনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা যদি খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের মানুষকে বিয়ে করতে পারে, তাহলে একজন রোহিঙ্গাকে বিয়ে করে আমার ছেলে কী ভুল করেছে? সে একজন মুসলিমকে বিয়ে করেছে; যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’
সাম্প্রতিক সহিংসতায় মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রাফিজার প্রেমে পড়েন পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক জুয়েল। রাফিজার পরিবার সিঙ্গাইরে ধর্মীয় এক নেতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে সিঙ্গাইর থেকে ২৬৫ মাইল দূরে কক্সবাজারের প্রধান শরণার্থী শিবিরে ফিরে যেতে বাধ্য হয় রাফিজার পরিবার।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৮ অক্টোবর ২০১৭