মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সময় দেশটির সেনারা অসংখ্য নারীকে ধর্ষণসহ নানা ধরনের যৌন হরয়ানি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় এই প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটির চিকিৎসকরা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা দেওয়া সময় জাতিসংঘের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখতে পান অসংখ্য আহত ধর্ষণসহ অন্যান্য যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ওইসব নারীদের অভিযোগ, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বার্মিজ সেনা সদস্যরা অনেক নারীর শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে, অনেককে গণধর্ষণও করেছে।
এদিকে মায়ানমার সরকার সেনাবাহিনীর এই ধর্ষণ কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে। বিভিন্ন সময় বলেছে রাখাইন রাজ্যে সেনা সদস্যরা কোনো সহিংস ঘটনা ঘটায়নি।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যখন সহিসতার প্রমাণ আসতে শুরু করে তখন অং সাং স চির মুখপাত্র জ হতেই ঘোষণা দেন, রাখাইনে যদি নারী ও শিশুদের ওপর কোনো ধরনের সহিংস আচরণের ঘটান ঘটে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এই ইস্যুতে সু চি এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিনে এই ইস্যুতে তাদের প্রতিনিধি ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ওইসব স্বাস্থ্যকর্মীরা আগস্টের শেষ দিকে থেকে ২৫ জন ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা করছেন।
এছাড়া কয়েকশ নারী জানিয়েছেন, সেনা সদস্যরা তাদের যৌন হয়রানি করেছে। তাদের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে সেনা সদস্যরা রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করেছে।
আজকের বাজার: এলকে / এলকে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭