রোহিঙ্গা নির্যাতনে ১৩ শীর্ষ সামরিক সেনা জড়িত: অ্যামনেস্টি

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতনের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যেখানে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত মূল ভূমিকা রাখায় ১৩ জন সামরিক সেনাকে শনাক্ত করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (২৭ জুন) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের ওই ১৩ জন শীর্ষ সামরিক সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠনটি।

‘উই উইল ডেসট্রয় এভরিথিং’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিছু ফোন রেকর্ডের কথোপকথন তুলে ধরেছে। যেখানে সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সেনা সদস্যদের সাথে মুসলিম রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন বলে জানানো হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনা পরিচালিত অভিযান আগস্টে শুরু হয়। গত ৯ মাসে অ্যামনেস্টির তদন্ত দল রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নিষ্ঠুর নির্যাতনের প্রমাণ যোগাড় করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যামনেস্টির তদন্ত দল শত শত নির্যাতিত রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের সাক্ষাৎকারেই উঠে আসে নির্যাতনের নতুন এ ভয়ংকর তথ্য। কিভাবে তাদেরকে মিয়ানমার থেকে বের করে দেয়ার কৌশল অবলম্বন করা হয় তাও উঠে আসে সাক্ষাৎকারে। ছবি, ভিডিও ক্লিপস, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং অস্ত্র বিশেষজ্ঞকে তথ্য যাচাই-বাছাই কাছে ব্যবহার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে বুধবার সকালে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তে’র ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অ্যামনেস্টি বলছে, এসব কিছু এটাই প্রমাণ করে যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং এবং আরো ১২ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তালিকাভুক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এছাড়া তিনজন সীমান্ত পুলিশও এই রক্তপাতের সাথে জড়িত। তাদের সবাইকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

আজকের বাজার/এমএইচ