মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাকিস্তানকে পাশে চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে আলোচনার মাধ্যমে ঢাকা-ইসলামাবাদ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করাসহ দুই দেশের বিদ্যমান সন্দেহের সম্পর্ক অবসানের আহবান জানিয়েছে পাকিস্তান।
গতকাল ১১ অক্টোবর বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসীর সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাকিস্তানকে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান। জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দেয়া ও এ-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, মায়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে বিদ্যমান ভুল বোঝাবুঝি নিরসন ও শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ার আহবান জানান। সেই সঙ্গে তিনি দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানের তাগিদ দেন। জবাবে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দীর্ঘ সময় থেকে ঝুলে থাকা পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। এ সময় পাক প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় ওআইসি সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাহোরের সফর ও তার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করেন। একই সঙ্গে ওআইসিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। এছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার পরপরই ওআইসির দ্বিতীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।