দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত ২০তম ‘হোমল্যান্ড অ্যান্ড গ্লোবাল সিকিউরিটি ফোরাম’র বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার ইতি টানতে আমি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।’
বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা কীভাবে সমন্বিত উপায়ে সমাধান করা যায় তার জন্য মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঘটনাটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি ‘এসিড টেস্ট’ হতে পারে। সেই সাথে এই ঘটনা ভবিষ্যতে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরীক্ষা ক্ষেত্র হতে পারে বলেও মত দেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিগৃহীত জনগোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য ভয়ানক নৃশংসতার যে বিবরণ আমরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখেছি তাতে আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে গেছি।’
রাষ্ট্রপতি জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের খাদ্য, আশ্রয়, পোশাক, স্বাস্থ্যসেবা, শিশুসেবা এবং সর্বপরি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গত বছর পাঁচ দফা এবং এবছর তিন দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন বলে জানান আবদুল হামিদ।
তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়া রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে ফেরত যেতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় যে রাষ্ট্রগুলো প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
তথ্যসূত্র-ইউএনবি
আজকের বাজার/এমএইচ