রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের ভূমিকা চায় ঢাকা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সরকারের অগ্রাধিকারে থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য ‘আইনগত বাধ্যবাধকতা’ থাকা উচিৎ।

সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রোহিঙ্গা ইস্যুটি সহজে সমাধান হবে না। এরজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।’

দেশ ও বাইরের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ওপর গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্থিতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন হবে এবং প্রত্যেকেই এর উপকারভোগী হবে।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে একসাথে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সরকার আবার শুরু করবে নাকি নতুন কোনো পন্থায় এই প্রক্রিয়া শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে জানার জন্য তার আরও স্টাডি করা প্রয়োজন।

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপন করা ৫টি পয়েন্টের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মোমেন বলেন, এমন ভালো প্রস্তাবের পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, মানবিকতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ উদারতা প্রদর্শন করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি।

শুধু বাংলাদেশই নয়, রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রাখলে মিয়ানমার, ভারত, থাইল্যান্ড ও চীনও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে।’

রোহিঙ্গা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা প্রভাব এবং পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে বিশ্লেষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মোমেন বলেন, পুরো পশ্চিমা বিশ্ব নতুন সরকারকে তাদের সমর্থন দিয়েছে। ‘সমগ্র পশ্চিমা বিশ্ব নতুন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে এবং তারা সবাই আমাদের সাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছে … পশ্চিমা শক্তি আমাদের সাথে রয়েছে।’

তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ