আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চাপে সীমান্ত এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই রোহিঙ্গা স্রোতে আরও কতকিছু ঢুকে পড়েছে তা আমরা এখনো জানি না।’
৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি।
সম্প্রতি মিয়ানমারে জাতিগত বিরোধের জেরে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় সে দেশের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা। নির্যাতনের মুখে টিকতে না পেরে দলে দলে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। তবে বেশি ভাগ ক্ষেত্রে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবেই ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে আসে, যারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য আছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত সামাল দেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এই স্রোতেরসঙ্গে কতকিছু যে ঢুকে পড়েছে তা আমরা এখনো জানি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখছে। এখন সরকারের নীতি রোহিঙ্গা পুশিংয়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭