রোহিঙ্গা হাজতিদেরও দেয়া হচ্ছে সরকারি আইনি সহায়তা

নির্যাতন নিপীড়নে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হওয়া বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থাকা রোহিঙ্গারাও পাচ্ছেন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে সরকারি আইনি সেবা।
আশ্রয় শিবিরে থাকা এসব রোহিঙ্গারা যারা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হাজতি তাদেরকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন’-২০০০ এর ২(ছ) অনুসারে বিচার প্রার্থী বিবেচনায় সরকারি এই আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. আকতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক স্মারক থেকে এ তথ্য জানা যায়। কক্সবাজারে কুতুপালং ক্যাম্প, বালুখালী শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত কয়েকজন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আলাদা তিন মামলায় হাজতিদের জেলা লিগ্যাল কমিটিকে ‘আইনগত সহায়তা’ নিশ্চিত করতে স্মারকে উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করেন। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’। এ সংস্থার অধীনে এখন সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন। দেশের শ্রম আদালত গুলোতেও লিগ্যাল এইড কাজ করছেন।
কারা কারা এ আইনের অধীনে সেবা পাবেন তা আইনেই সুনির্দিষ্ট করা আছে। এ আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদেরও সরকারি এই আইনি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও সুপ্রিমকোর্টসহ সকল লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরেও (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।