লংগদুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

মেহরাজ মোর্শেদ:রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।

তিনি বলেন, আদিবাসীদের ওপর হামলা করে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর আগেও লোগাং, দিঘীনালা, সাজেক, বাঘাইহাটে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী পাহাড়িদের ওপর ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা জানি এইসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার হয় না।

রোববার সকাল ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নাগরিক সমাজ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মানবাধিকার কর্মী নুমান আহম্মেদ খানের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে লংগদু উপজেলার তিনটিলা এবং পার্শ্ববর্তী মানিকজুরছড়া ও বাত্যা পাড়ায় পাহাড়িদের উপর সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

এ সময় গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, হাজার হাজার পাহাড়ি জনগণ জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় মানুষ বাস করতে পারে না। তিনি লংগদুর ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা ঊষাতন তালুকদার লংগদুর হামলাকে পূর্ব পরিকল্পিত উল্লেখ করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানান। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, সরকার দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, ন্যায্যতা ও শান্তি কমিশনের সদস্য থিওফিল নকরেক, সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিলানী শুভ প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট নাগরিক, প্রগতিশীল ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা এবং সংহতি প্রকাশ করেন। সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে টিএসসি অভিমুখে একটি বিােভ মিছিল বের করা হয়।

আজকের বাজার:এমএম/আরআর/ ০৪ জুন ২০১৭