হাওড়া বা কলকাতার মতো রেড জোনে করোনা সংক্রমণ থামাতে আরও কঠোর হতে হবে পুলিশকে। প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ নামাতে হবে। শুক্রবার নবান্নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের যে ১৭০টি জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে হাওড়া-সহ বাংলার চারটি জেলা রয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাওড়া এখন রেড স্টার জোন হয়ে গেছে। অর্থাৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমি দেখতে চাই ১৪ দিনে হাওড়া রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে চলে এসেছে। আর যেন কেউ নতুন করে সেখানে আক্রান্ত না হন।” হাওড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কঠোর পদক্ষেপ করুন। মেলামেশা, রাস্তায় বেরোনো সব বন্ধ করে দিন। দরকার হলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ খাবার দেবে। না হলে হাওড়াকে আটকাতে পারব না।”খবর কলকাতা ২৪।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দেখবেন পারিবারিক হতে হতে সংক্রমণ গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।” পুলিশের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “দরকার হলে বাজারগুলোয় সশস্ত্র পুলিশ নামানো হোক। কিন্তু কোনও ভাবেই যেন বাজারে একজায়গায় পাঁচ জনের বেশি না দাঁড়ায়”। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিবপুর মন্দিরতলা, সাঁকরাইল, বাঁকড়া, ওদিকে মালিপাঁচঘরা, কিছুটা ধূলাগড়, বিশেষ করে হাওড়ার শহর এলাকায় আগ্রাসী হয়ে কাজ করতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, একই অবস্থা হয়ে রয়েছে উত্তর কলকাতাও। এই এলাকাকেও রেড থেকে অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, “সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। মেলামেশা, আড্ডা মারা একেবারে বন্ধ। বাজারগুলিতে স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক। কেউ মাস্ক না পরে বাজারে গেলে, তাকে যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। ”
আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যে ২২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে ১৬২ জন। আরও ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।